
মালয়েশিয়ায় ১৫০ বাংলাদেশি আটক
- আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৪:২৬:২৮ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৪:২৬:২৮ অপরাহ্ন


অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে ৬৬২ জন বিদেশি অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাদের মধ্যে ১৫০ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন। গত বুধবার রাতে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের পুলাউ ইন্দাহ শিল্প এলাকায় সমন্বিত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৪৩৭ জন, পাকিস্তানের ৩৫ জন, মিয়ানমারের ৩৬ জন, নেপালের ২৪ জন এবং ভারতের ১০ জন নাগরিক রয়েছেন। সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামারুদিন জানিয়েছেন, গত চার মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়। এদিন ১০০টিরও বেশি স্থাপনায় অভিযান চালানো হয় এবং নয়টি দোকানঘর চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়। সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগ (ঔওগ), রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ (চউজগ), মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (অচগগ), এয়ার অপারেশনস ফোর্স (চএট), রয়েল ক্লাং সিটি কাউন্সিল (গইক), জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের (ঔচঘ) মোট ২৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মী অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন। সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামারুদিন জানান, অভিযানকালে ১,১৩২ জনকে তল্লাশি করা হয়। তাদের মধ্য থেকে ৬৬২ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৬৪৩ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী, যাদের বয়স ১৬ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। আটক ব্যক্তিদের প্রথমে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য। পরে সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে স্থানান্তর করা হয়। পরিচালক খাইরুল আমিনুস আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-বৈধ পরিচয়পত্র না থাকা, ভিসার শর্ত লঙ্ঘন, নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান, ভুয়া বা অচেনা কার্ড ব্যবহার। এছাড়া অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিদেশি শ্রমিকদের একটি ডরমিটরি চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পরবর্তী তদন্তের জন্য জনশক্তি বিভাগে (ঔঞক) পাঠানো হয়েছে। খাইরুল আমিনুস বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশন এবং ২০০৭ সালের মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালানবিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাইরুল আমিনুস আরও বলেন, জনসাধারণ এবং নিয়োগকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, অবৈধ অভিবাসীদের রক্ষা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এর জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে কিছু নিয়োগকর্তা তাদের কর্মীদের পাসপোর্ট জমা দিয়ে সহায়তা করেছেন, যা প্রমাণ করে যে সবাই আইন ভঙ্গ করেননি। পরিচালক আরও জানান, দেশে বিদেশি কর্মীদের প্রয়োজন রয়েছে, তবে তাদের অবশ্যই দেশের নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং বৈধভাবে কাজ করতে হবে। সতর্ক করে দিয়ে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খাইরুল বলেন, শুধু পুলাউ ইন্দাহ নয়, বরং সেলাঙ্গরজুড়েই এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ